তজুমদ্দিন প্রতিবেদক ॥ ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা সদর থেকে ঢাকা, মনপুরাসহ আঞ্চলিক রুটে চলাচল করা লঞ্চঘাট সড়কটি বেহাল দশা কারণে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। কাঁচা রাস্তাটিতে ট্রাক্টর, নসিমন, অটোরিক্সা ও হোন্ডাসহ বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় যানবাহন চলাচল করায় বৃস্টির পানিতে বড় বড় গর্তের সৃস্টি হয়ে সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। গুরুপূর্ণ এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা, মনপুরাসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। অন্যদিকে ঢাকার সাথে তজুমদ্দিনের ব্যবসায়ীদের ব্যবসার একমাত্র রুটও এটি। সড়কটির বেহাল দশার কারণে ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত ভাড়াও গুনতে হয়। তজুমদ্দিন শশীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম, নয়ন বলেন, কাঁচা সড়কটি দিয়ে ভারী যালাচল করার কারণে বৃষ্টির পানিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ঢাকা থেকে আনা মালামাল বহনে অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হয় ব্যবসায়ীদের। সড়কটি দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা না করা হলে ঢাকা ও মনপুরার সাথে তজুমদ্দিনের ব্যবসা-বানিজ্য স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে।
সুইচগেট মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি আবুল হাসেম মহাজন জানান, তজুমদ্দিন টু ঢাকা লঞ্চঘাট সড়কটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন। মাছের ট্রাক, রিক্সা, নসিমন, মোটরযান ও ঘাটের আড়তদার মৎস্যজীবিসহ দেশা বিদেশী হাজার হাজার মানুষ এই রুটে চলাচল করেন। সড়কটিতে পানি-কাঁদামাটি একাকার হয়ে বর্তমানে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শশীগঞ্জ লঞ্চ ঘাট ইজারাদার মোঃ রিয়াজ তালুকদার জানান, ঢাকার ৩টি লঞ্চ সার্ভিসের যাত্রীসহ তজুমদ্দিন-মনপুরা সি-ট্রাকের যাত্রী ও চরাঞ্চলের মানুষ দিবারাত্রি এ রুটে যাতায়াত করছে। কিন্তু রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্বেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। উপজেলা প্রকৌশলী সাদ জগলুল ফারুক বলেন, উপজেলা শহর (নন-মিউনিসিপ্যাল) মাষ্টার প্লান ও মৌলিক অবকাঠামো প্রকল্পের মাধ্যমে টেন্ডার শেষ হয়েছে। কাজের ঠিকাদারকে চিঠি দেয়া হবে দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য। তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন দুলাল বলেন, লঞ্চঘাট সড়কটি শিগগিরই সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে উপজেলা পরিষদের মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে।
Leave a Reply